মডেল, টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রের নায়িকা শখ যখন যা চাইছেন তা-ই করছেন। আদনানের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি ঘটিয়ে এখন নিলয়ের সঙ্গে আছেন। ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, সেখানেও নাকি ঝামেলা চলছে।
শখ এখন কোথাও নেই। বিনোদনের সব মাধ্যমেই তার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। কিন্তু বাস্তবতা বলছে অন্য কথা। আসলে শখ কোথায়! চলচ্চিত্রে এ পর্দাকন্যার অবস্থান যা রয়েছে এতে তাকে ছবিতে সাইন করানোর জন্য খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর যে একটি ছবিতে শখ সমপ্রতি অভিনয় শেষ করেছেন তা নিয়ে প্রেক্ষাগৃহ ব্যবসায়ীসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের তেমন কোন একটা আগ্রহ চোখে পড়েনি। ‘অল্প অল্প প্রেমের গল্প’ নামের এ ছবিটি নিয়ে পরিচালক সানিয়াত হোসেনও আওয়াজের বাইরে থাকছেন। আর এভাবেই ঢোল-তবলা ছাড়া যে কোনদিন ছবিটি দুই একটি হলে মুক্তি পেয়ে যেতে পারে। আর এক সপ্তাহ পার না হতেই আবার তা চলেও যাবে। সিনেমা দেখানোর জন্য দর্শকের খুব কাছাকাছি যাওয়া প্রয়োজন। সে চেষ্টাটা এ ছবি সংশ্লিষ্টদের নেই। অবশ্য আজকের এ শখ এসেছেন বিজ্ঞাপনের মধ্য দিয়েই। কিন্তু তুলনামূলক শখের বিজ্ঞাপনের মডেল হওয়ার জন্য আবেদনও কমে এসেছে। দুই একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা বা প্রোডাক্ট বাদে কারও সঙ্গেই এই এক বছরে চুক্তি হয়নি শখের। আর যে ক’টি বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে আগের চুক্তি আছে সেগুলোতেও ইদানীং দেখা যাচ্ছে শখ ছাড়াই একাধিক নতুন কনেসেপ্টের বিজ্ঞাপন নির্মাণ এবং প্রচার হচ্ছে। শখ বলেছেন, আমার অল্প উপস্থিতির মানে এটি নয় আমি অনুপস্থিত। বেছে ভাল কিছু কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রেখেছি। আর আমি নিজে যেটা বুঝি সেটিই করছি। শখের এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক সমালোচক বলেছেন, সমস্যটা এখানেই। এক সময় মৌসুমী, শাবনূর, বিপাশা, তারিন বুঝে শুনে পরিবারের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়মিত অভিনয়ে আসতেন। এরপর তারা নির্মাতা বা এ অঙ্গনের জানাশোনা মানুষেরও পরামর্শ নিতেন। আর এ সময়ের শখের মতো স্বল্প সময়ের জন্য আসা মেয়েরা নিজে যেটা বুঝে সেটাই করে। নিজে যদি এত বোঝেন তবে ওস্তাদ বলে কিছু থাকতো না পৃথিবীতে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়েরও প্রয়োজন হতো না জ্ঞান অর্জনের জন্য। মনে রাখতে হবে, নিজের ইচ্ছাতে এ অঙ্গনে এলেও একটা সময়ে এ অঙ্গনের মানুষরা নিজের থাকে না। পাবলিক ফিগার হয়ে যায়। চাইলেই যে কোন কিছু করা যায় না।