সমাবেশ অনুষ্ঠানের ব্যাপারে পুলিশের অনুমতির পর বেশ উজ্জিবিত জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে জড়ো হতে থাকেন। বিকেল তিনটার আগে সমাবেশমুখী বিভিন্ন প্রান্তের সড়কগুলো জামায়াত-শিবিরের দখলে চলে যায়। বন্ধ করে দেয়া হয় যান চলাচল। সমাবেশের চতুর্দিকে কোতোয়ালী মোড়, সিনেমা প্যালেস, বক্সিবিট এলাকায় সতর্ক জামায়াত-শিবির কর্মীরা অবস্থান নেয়।
অনাষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরুর আগে কয়েকজন জামায়াত-শিবির কর্মীকে দায়িত্বরত পুলিশ বাহিনীর কয়েকজন সদস্যদের মধ্যে রজনীগন্ধার স্টিক বিতরণ করতে দেখা যায়। সমাবেশ শুরুর দিকে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও বিকেল গড়ানো সঙ্গে সঙ্গে তাদের উপস্থিতি কমতে থাকে আর বাড়তে থাকে সমাবেশের কলেবর।
বক্তব্যে শামসুল ইসলাম এমপি বলেন, “১৯৭৩ সালে যখন যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা করা হয়েছিল, তখন আজ আটক নেতারা জীবীত এবং দেশেই ছিলেন। যুদ্ধাপরাধী হলে শেখ মুজিব কেন ওই তালিকায় জামায়াত নেতাদের রাখেন নি?”
তিনি আরো বলেন, “মওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী ১৯৭৯ সালে দলেন ফরম পুরন করে জামায়াতে যোগ দেন। এর আগে তার বিরুদ্ধে কোনো যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি। তিনি যখনই জামায়াতে যোগ দেন এবং কোরআনের কথা বলা শুরু করেছেন তখনই তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এ সময় সাঈদীর রায় হলে মেনে নেওয়া হবে কিনা প্রশ্ন করা হলে সমাবেশ থেকে মেনে নেওয়া হবে না বলে সোচ্চার ঘোষণা আসে।”
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিলের জন্য দাবি জানিয়ে জামায়াত নেতা বলেন, “অন্যথায় যে আগুন জ্বলবে, সে আগুনে বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত হবে। নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন করা হলে সে নির্বাচন প্রতিহত করা হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন- জামায়াত নেতা মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরী, উত্তর জেলা আমীর অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান, সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী , দক্ষিণ জেলা আমীর জাফর সাদেক, আফসার উদ্দিন চৌধুরী, নজরুল ইসলাম, নগর শিবির সভাপতি মসরুর হোসাইনসহ অন্যরা।