কে এম মিঠু, গোপালপুর :
স্বামী ও শাশুড়ির জ্বালা সইতে না পেরে ঘরের আড়ায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে ইতি বেগম (১৮) নামের এক গৃহবধূ। তিনি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা দক্ষিণপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আল আমীন মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সবুর হোসেন জানান, ইতি ছিলেন আল আমীনের দ্বিতীয় স্ত্রী।বছর তিন আগে একই গ্রামের মুত্তালিব হোসেনের কন্যা সেলিনাকে বিয়ে করেছিলেন আল আমীন।
সেলিনার বাবা মুত্তালিব হোসেন জানান, কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় সেলিনাকে প্রায়ই মারধর করতো আল আমীন ও তার পরিবার। অমানুষিক জ্বালা আর নির্যাতন সইতে না পেরে সেলিনা তার অবুঝ শিশু কন্যাসহ বাবার বাড়ি চলে আসেন। পরে ডিভোর্সের মাধ্যমে সেলিনার সংসার ভেঙ্গে যায়।
হাসিনা বেগম নামে এক প্রতিবেশী বলেন, আল আমীন মাত্র পাঁচ মাস আগে যৌতুক নিয়ে একই উপজেলার ঝাওয়াইল গ্রামের দুলাল মিয়ার কন্যা ইতিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
বাবা দুলাল মিয়া জানান, ইতি ছিল মেধাবী ছাত্রী। ওর স্বপ্ন ছিলো কলেজে পড়াশোনা করার। কিন্তু গত ইন্টার পরীক্ষায় ফরম ফিলাপ করার পরেও ইতিকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি আল আমীন। মেয়েটি মাঝেমধ্যেই কলেজে পড়াশোনা করবে বলে বায়না ধরেতো। আর এজন্য ইতির উপর প্রায়ই মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হতো।
আজ শনিবার দুপুরে পড়াশুনা নিয়ে কথা বলতেই আল আমিনের ব্যাপক নির্যাতন করার কথা ইতি ফোনে বাবাকে জানায়। নির্যাতন সইতে না পেরে ইতি আত্মহত্যা করেছে বলে তার অভিযোগ। তিনি এর বিচার দাবি করেন।
এদিকে আল আমীন জানায়, ইতি ছিল অভিমানী মেয়ে। সামান্য কথাকাটির ঘটনায় সে এমন সর্বনাশা কাণ্ড করেছে। তাকে কোন নির্যাতন করা হয়নি।
এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার ওসি কাইয়ুম সিদ্দিকী জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছেন।