আজ || শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেনের পদত্যাগ       উত্তর টাঙ্গাইল নূরানী মাদরাসার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান       গোপালপুরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন       গোপালপুরে নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত       গোপালপুরে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় শিশু ও নারী নিহত       গোপালপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে নগদ অর্থ প্রদান       গোপালপুরে জাতীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির সংবর্ধিত       এ হয়রানির শেষ কোথায়! তদন্তে নির্দোষ, তবুও বন্ধ বেতনভাতা       গোপালপুরে ২০১ গম্বুজ মসজিদ চত্বরে পুলিশ বক্স স্থাপন       হেমনগর জমিদারের একাল-সেকাল’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন    
 


গোপালপুরের সেই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে আবারো পারাপার বন্ধ ঘোষণা

কে এম মিঠু, গোপালপুর :
টাঙ্গাইলের গোপালপুর-পিংনা সড়কের ঝাওয়াইল বাজার সংলগ্ন ঝিনাই নদীর উপর নির্মিত স্টিলের সেই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপারে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে সওজ কর্তৃপক্ষ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘাটাইল (পোড়াবাড়ি)-শালিয়াজানী-গোপালপুর-সরিষাবাড়ি জেলা মহাসড়কের ঝাওয়াইল নামকস্থানে ক্ষতিগ্রস্ত বেইলী সেতুটি মেরামতের জন্য, আগামী ১২.০৭.২০২০ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৭:০০ ঘটিকা হতে রাত ৮:০০ টা পর্যন্ত, উক্ত সেতুর উপর দিয়ে সকল প্রকার যানবাহন পারাপার বন্ধ থাকবে।
উল্লেখিত সময়ে চলাচলকারী যানবাহন সমূহকে বিকল্প সড়কপথে চলাচলের জন্য অনুরোধ করা হলো। যাত্রী/ সাধারণের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন অত্র সড়ক বিভাগ।

উল্লেখ্য, গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল বাজার এলাকায় ঝিনাই নদীর উপর নড়বড়েভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এ ব্রীজটি এখন, দিনের বেলায় মরণ ফাঁদ আর রাতের বেলায় মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে!

বর্তমানে এই সেতু এবং সড়কপথটি বেশী ব্যস্ততম হওয়ার মূলকারণ, সেতুটির পূর্বপ্রান্ত ঘেঁষেই নির্মিত হচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশী গম্বুজ বিশিষ্ট ইসলামী স্থাপনা ২০১ গম্বুজ মসজিদ। ইতোমধ্যে যে মসজিদটির প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মসজিদটির পশ্চিমপ্রান্তের হাজার হাজার দর্শনার্থী, মুসুল্লি এবং জেলা, উপজেলা শহর ছাড়াও অত্রাঞ্চলের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যেতেও, অধিকাংশ যাতায়াতকারীকে এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি অবশ্যই ব্যবহার করতে হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, ব্যস্ততম এই সড়কপথে স্টীল দিয়ে তৈরি এ সেতুটি যাতায়াতকার্যে বহুবছর ব্যবহার করার কারণে, ব্রীজে ব্যবহিত স্টীলের প্রায় পাটাতনই ক্ষয় হয়ে গিয়েছে। মরচে পড়ে বেশকিছু পাটাতনে সৃষ্টি হয়েছে অনেক ছোটবড় ফাটল। আর সেসব ফাটলে চাকা আটকে গিয়ে প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ছে নানাধরণের যানবাহন।

কয়েকদিন পরপরই ক্ষতিগ্রস্ত অথবা ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা দিয়ে, মেরামতের নামে সেতুটির উপর দিয়ে সবধরণের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী করে সড়ক কর্তৃপক্ষ। আর প্রতিবারই অনেকটা তড়িঘড়ি করে জোড়াতালি মাধ্যমে, কোন রকমভাবে সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার চালু করতে পারলেই, ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর মেরামত কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে দ্রুত সটকে পড়েন সড়ক বিভাগের লোকজন।

আর জীর্ণদশা এ সেতুটি বহুবার দায়সারাভাবে মেরামত করার ফলে, বর্তমানে ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে সেতুর উপর প্রায়ই ছোটবড় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে সেতু দিয়ে চলাচলকারী অনেকগুলো যাত্রীও।

বহুবছর ধরে মরণফাঁদের এই জীর্ণশীর্ণ সেতুস্থলে, ঝাওয়াইল ইউনিয়নসহ গোপালপুর উপজেলাবাসী তাদের কাঙ্খিত চাওয়া হিসেবে, একটি নতুন ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসলেও, আজও টনক নড়াতে পারেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের! দেখা মেলেনি আজও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বলিষ্ঠকন্ঠে দেয়া আশ্বাসবাণীর লেশমাত্র কাজের চিহ্নরূপ!

কে এম মিঠু
৫ জুলাই ২০২০

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!