কে এম মিঠু, গোপালপুর :
টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌরশহরের কালীমন্দির সংলগ্ন বৈরাণ নদীর উপর ব্যস্ততম ফুটব্রীজটি এখন মরণফাঁদ হয়ে কোন রকমভাবে দাঁড়িয়ে আছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ ফুটব্রীজ দিয়েই প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে হাজারো মানুষ আর যানবাহন।
জানা যায়, বৈরাণ নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে ১৯৯২ সালে পৌরশহরের কোনাবাড়ী বাজারের গরুহাট ও কালীমন্দির পয়েন্টে এলজিইডি এ ফুটব্রীজটি নির্মাণ করে। দুই পাড় জনবহুল হওয়ায় এবং হাটবাজার, পৌরমার্কেট ও একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় যোগাযোগ ও পরিবহণে ফুটব্রীজটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সম্প্রতি ফুটব্রীজটির নিচে মাটি সরে যাওয়ায় দুটি পিলার আলগা হয়ে গেছে। এক পাশের রেলিং ভেঙে পড়েছে। আরেক পাশে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী রেলিং বানানো হয়েছে। ফুটব্রীজটির গোড়ায় মারাত্মক ফাটল ও পাটাতনে বড়ো বড়ো গর্ত রয়েছে। ব্রীজটি সংযোগ সড়কের ইটও খসে পড়েছে। ছোটছোট যানবাহণ পারাপারেও ব্রীজটি দুলতে থাকে। প্রতিদিনই রেলিংবিহীন এ ফুটব্রীজটি পারাপারে ঘটে মারাত্মক দুর্ঘটনা।
পৌরসভা কার্যালয় থেকে ১৫০ গজ দূরে এ ব্যস্ততম ফুটব্রীজটি সংস্কারে কর্তৃপক্ষ তড়িৎগতিতে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে, যে কোনো সময় ব্রীজটি ধসে পড়ে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাসহ পৌরবাসী মরণফাঁদ হয়ে কোন রকমভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এ ফুটব্রীজটি দ্রুততার সাথে ভেঙ্গে একইস্থানে একটি প্রশস্ত ব্রীজ নিমার্ণের দাবী জানান।
গোপালপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী জাভেদ হোসেন জানান, পৌরশহরের কালীমন্দির সংলগ্ন বৈরাণ নদীর উপর জীর্ণ ফুটব্রীজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে নতুন করে ব্রীজ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।