ডেক্স নিউজ, গোপালপুর বার্তা :
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি এবং সাবেক ইউপি মেম্বার আনোয়ার হোসেন আয়নালের মৃত্যূ রহস্য উদঘাটিত হয়নি।
জানা যায়, সাম্প্রতিক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আয়নাল মেম্বার ভাইসচেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মো. আব্দুল লতিফ সিটির চশমা প্রতীকে কাজ করতেন। গত ২৮ মার্চ চশমা প্রতীকের পক্ষে ঝাওয়াইল বাজারে মিছিল সমাবেশে নেতৃত্ব দেয়ার সময় তিনি বুকে ব্যাথা অনুভব করেন দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে গোপালপুর হাসপাতালে আনা হলে ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আয়নাল মেম্বারের অকস্মাৎ মৃত্যূকে কেন্দ্র করে একটি মহল অভিযোগ তোলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন মোবাইলে হুমকি দিলে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন এবং জ্ঞান হারিয়ে মৃত্যূর কোলে ঢলে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রচন্ড গরমে হাই প্রেসারের রোগী আয়নাল মেম্বার অসুস্থ হয়ে পড়েন। মূলত স্ট্রোক করেই তিনি মারা যান। কিন্তু নির্বাচনের আগে ফায়দা লুটতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল প্রতিপক্ষের মোবাইলে হুমকীতে আয়নাল মারা গেছেন বলে কল্পিত অভিযোগ তোলেন।
এদিকে আয়নাল মেম্বারের মৃত্যূকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় বয়ে যায়। অনেকেই শোক প্রকাশের পাশাপাশি মৃত্যূরহস্য উদঘাটনের দাবি জানান। কেউ কেউ মোবাইলে হুমকির বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদারের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলেন। আবার কেউ কেউ প্রতিপক্ষের জড়িত থাকার কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামীলীগ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুরুজ তার ফেসবুক ওয়ালে নিন্মোক্ত স্টাটাস প্রদান করেন-
Suruz Vp : March 30 at 8:02 PM ** ‘‘মুখ ও মুখোশ ঃ উন্মোচিত হলো মুখোশ_বেরিয়ে এলো সেই কুৎসিত মুখ। আয়নাল মেম্বারের মোবাইলে লাস্ট কল উপঃ চেয়ারম্যান ‘র। বের হয়েছে আয়নাল মেম্বারের ফোনকল লিস্ট ও রেকর্ড’’
** ‘‘বলেছিলাম যে,বেশি কইরেন না, শেষে নিজের পাতা জালে নিজেই ফেঁসে যাবেন। মনে রাখবেন, মানুষ মৃত্যু বরণ করার সাথে সাথে তার আমল নামা বন্ধ হয়ে যায় আর সেই মৃত মানুষকে নিয়ে যদি কেউ নোংরা রাজনীতি করে তথা ষড়যন্ত্র করে, স্বয়ং আল্লাহ তা সহ্য করেনা। আয়নাল মেম্বার’র ফোনে লাস্ট কল ছিল উপঃ চেয়ারম্যান র এবং সেই মেম্বারকে খুব ধমক দিয়ে বলে… এতগুলো টাকা নিলেন কিন্তু টিবলের মিছিল বড় হলো কেন? আবার সভাপতি থাকবেন,কিকরে থাকেন দেখবো। মেম্বার আয়নাল মেম্বার ওসবে ভয় পায়না। অতঃপর, স্ট্রোক তারপর মৃত্যু’’।
এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, প্রয়াত আয়নাল মেম্বারের ব্যবহৃত মোবাইল এখন থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। কললিস্ট এবং রেকর্ড যাচাইবাছাই চলছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে না বলে জানান তিনি।