নিজস্ব প্রতিবেদক :
গোপালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মুখে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ডাঃ দিপু মনির উপজেলার হেমনগর কলেজ মাঠে পূর্ব নির্ধারিত আজ শনিবারের জনসভা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। গোপালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সুত্রে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, উপজেলা ও জেলা আওয়ামীলীগকে পাশ কাটিয়ে টাঙ্গাইল- ২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সাংসদ খন্দকার আসাদুজ্জামান আজ শনিবার উপজেলার হেমনগর কলেজ মাঠে এ জনসভার আয়োজন করেন। ওই জনসভায় প্রধান অতিথি করা হয় আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডাঃ দিপু মনিকে।
গত বুধবার উপজেলা আওয়ামীলীগের কর্মী সভায় অধিকাংশ নেতাকর্মী অভিযোগ করেন, স্থানীয় সাংসদ নিজ পুত্র খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেলকে কৌশলে আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা দেয়ার জন্য ওই জনসভার আয়োজন করেছেন। একই আসনে আওয়ামীলীগের অপর চার মনোনয়ন প্রার্থীকে সুকৌশলে জনসভা থেকে বাদ দেয়া হয়।
এদিকে জনসভা বাতিলের দাবিতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা দু’দিন ধরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে আসছেন। বেশ কয়েক স্থানে মশিউজ্জামান রোমেলের ব্যানার ফেষ্টুন ও তোরণ ভাংচুর করা হয়।
এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে গোপালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার অভিযোগ করেন, দলকে পাশ কাটিয়ে জনসভা ডাকায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনির অভিযোগ করেন, জেলা আওয়ামীলীগকে পাশ কাটিয়ে ডাকা জনসভায় জেলা নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহনে অসম্মতি জানিয়েছেন। জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি অভিযোগ করেন, চার মনোনয়ন প্রত্যাশীকে অন্ধকারে রেখে একপেশে জনসভায় কেউ অংশ নিচ্ছেন না। অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী কর্ণেল (অবঃ) হারুন অর রশীদ জানান, ডাক্তার দিপু মনির সঙ্গে আজ শনিবার তার যোগাযোগ হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তিনি আজ শনিবারের জনসভায় আসছেন না।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হালিমুজ্জামান তালুকদার জানান, দলীয় সংঘাত এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রক্ষার স্বার্থে ডাঃ দিপু মনির পরামর্শে জনসভাটি বাতিল করা হয়েছে।
ওসি হাসান আল মামুন জানান, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত জনসভা বাতিল হওয়ায় পরিবেশ এখন শান্ত।