গোপালপুর বার্তা ডেক্স :
রাজধানীর পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে নিজ গাড়িতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন দেশের অন্যতম শীর্ষ জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। আইয়ুব বাচ্চুর হার্টের কার্যক্ষমতা ছিলো মাত্র ৩০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে হাসপাতাল প্রাঙ্গনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্কয়ার হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন এ তথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে অজ্ঞান অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয় আইয়ুব বাচ্চুকে। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা কৃত্রিমভাবে কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর (কোনো কারণে যখন হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যায়, তখন সাময়িকভাবে হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কাজ কিছু সময় চালিয়ে মস্তিষ্কে রক্ত এবং অক্সিজেন সরবরাহ করা) এর মাধ্যমে হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যকলাপ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।
চিকিৎসক বলেন, আজ সকালে হৃদযন্ত্রে আক্রান্ত হন আইয়ুব বাচ্চু। গাড়ি চালকের বক্তব্য অনুযায়ী উনার মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিলো। এর অর্থ হলো হার্টের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে মুখ দিয়ে পানির মতো অর্থাৎ ফেনা বের হচ্ছিল। যেটাকে আমরা হার্টফেলও বলে থাকি।
সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। যার জন্য উনি বার বার হাসপাতালে ভর্তি হতেন। সবশেষ তিনি (আইয়ুব বাচ্চু) স্কয়ার হাসপাতালে এসেছিলেন ‘ফুসফুসে পানি নিয়ে’।