কে এম মিঠু, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) :
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নিজ পরিবারে অবহেলিত ও গ্রাম্য কবিরাজের অপচিকিৎসায় দু’চোখই অন্ধ হয়ে যাওয়া অসহায় সাথী আক্তার (১৯) কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবসহ স্থানীয় নিউজ পোর্টাল গোপালপুর বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকম এ একটি ভিডিও প্রকাশের পর অবশেষে প্রতিবন্ধী তালিকায় অন্ধ সাথীর নামযুক্ত করে নিল গোপালপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিস।
আজ বুধবার সকাল ১১ ঘটিকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে সাথী আক্তারের বর্তমান আশ্রয়দাতা উপজেলার চতিলা গ্রামের মো. রুবেল আহাম্মেদের বাড়িতে প্রতিবন্ধী জরিপ ফর্মে নাম অন্তর্ভূক্ত করে নেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. মোস্তফা হোসাইন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চরচতিলা আলিম মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. শুকুর মাহমুদ, প্রভাষক অটল শরিয়ত উল্যাহ, সাংবাদিক কে এম মিঠু এবং মেডিকেল ছাত্র ইব্রাহিম পারভেজ প্রমূখ।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. মোস্তফা হোসাইন বলেন, অত্র উপজেলায় প্রতিবন্ধী জরিপকালীন সময়ে সাথী ঢাকায় অবস্থান করায় ওর নাম বাদ পড়ে। স্থানীয় পত্রিকা গোপালপুর বার্তায় সাথীর অন্ধকারাচ্ছন্নময় জীবন নিয়ে প্রকাশিত একটি ভিডিওর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেই আজ সাথীকে প্রতিবন্ধী তালিকায় ওর নাম অন্তর্ভূক্ত করে নেনা হল। আশা রাখছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই সাথী প্রতিবন্ধী কার্ড পাওয়াসহ সমাজসেবা অধিদপ্তরের দেয়া সকল সুযোগ সুবিধা পাবে।
উল্লেখ্য, সাথী আক্তার গোপালপুর উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের নবগ্রাম গ্রামের শাহজাহান শেখের সন্তান। সে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশুনাকালীন সময়ে হঠাৎ চোখের সমস্যা হয়। পরে তার অশিক্ষিত পরিবার গ্রামের কবিরাজ দিয়ে কিছুদিন চিকিৎসা করালে সাথীর চোখ পুরোপরি নষ্ট হয়ে যায়। দ্রারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত সাথীর পরিবার তাকে সুচিকিৎসা করাতে না পারায় সে বর্তমানে অন্ধ হয়ে জীবনযাপন করছে। অসহায় সাথী তার অন্ধকারময় জীবন থেকে মুক্তি পেতে সমাজের সহৃদয়বান মানুষের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।