আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আটক জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে ডাকা মঙ্গলবারের হরতাল রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। এটা ছিল যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবিতে জামায়াতের সর্বাত্মক সন্ত্রাস।
বুধবার সকালে রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে “গণতন্ত্র রক্ষায় গণতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা-স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবিরের দেশবিরোধী কর্মকান্ড ও দেশবাসির করনীয়-শীর্ষক স্মরণসভায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত বলেন, সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে- যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হবেই। তাই কেউ তাদের মুক্তির দাবিতে কোনো রাজনৈতিক বা সংগঠনিক কর্মসূচির অনুমতি দিতে পারি না।
এসময় তিনি জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কঠোর সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, জামায়াত বিকৃত রাজনীতির চর্চা করছে। তারা পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছে, দেশব্যাপি নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
সুরঞ্জিত বলেন, হরতালে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের গাড়িতে হামলার দায় স্বীকার করে জামায়াতের ক্ষতিপূরণ দিতে চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে সুরঞ্জিত বলেন, তাহলে হরতালে সারা দেশে যে ১১১টি গাড়ি ভাংচুর ও পোড়ানো হয়েছে তার দায়ভার কে নেবে? এ ক্ষতিপূরণ কে দেবে?
এসময় তিনি, জামায়াতের উগ্র মৌলবাদী চরিত্রের বিষয়ে সজাগ থাকার জন্য বিদেশি কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান।
হরতালে নৈতিক সমর্থন দেয়ায় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমেই বিএনপি পরিস্কার করেছে, তারাও যুদ্ধাপরাধের বিচার চায় না।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিএনপি চলে না বলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সূত্র ধরে সুরঞ্জিত বলেন, আপনারা ঠিকই প্রধানমন্ত্রীর উপদেশ মানেন না, জামায়াতের উপদেশে রাজনীতি করেন।
প্রসঙ্গত, ক’দিন আগে মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ের মাসে বিএনপিকে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি না দিয়ে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গ ছাড়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর এমন আহ্বানের জবাবে সোমবার মির্জা ফখরুল এ কথা বলেছেন।