৪৮ ঘণ্টায় তিনটি গণধর্ষণ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়ে অবশেষে সক্রিয় হলো উত্তরপ্রদেশ সরকার। বদায়ূঁর ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই পুলিশ সদস্যকে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠনেরও ঘোষণা হয়েছে। এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের বেফাঁস মন্তব্যে নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে বিতর্ক। দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের পর উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁ। দুই আদিবাসী কিশোরীর গণধর্ষণ ও হত্যাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তাল দেশ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অখিলেশ যাদব সরকারকে দুষেছে প্রায় সবকটি রাজনৈতিক দলই। বদায়ূঁর ঘটনার সিবিআই তদন্ত এবং উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছেন বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতী।
অন্যদিকে, ধর্ষিত দুই আত্মীয় বোনের একজনের বাবা এই ঘটনায় জাতিগত বিদ্বেষের অভিযোগ আনলেন। তাঁর দাবি ওই অঞ্চলের প্রভাবশালী যাদবরা আদিবাসীদের অবদমিত করার জন্য ষড়যন্ত্র করেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ভারতের অনান্য বেশ কিছু রাজ্যের মত উত্তরপ্রদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত বিদ্বেষের প্রভাব ব্যাপক। বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধিতার কারণে যখন তখন এই রাজ্যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এই রকম পরিস্থিতি নিগৃহীত কিশোরীর বাবার অভিযোগ বারুদে অগ্নিসংযোগ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বদায়ূঁর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে দিল্লিও। লক্ষ্ণৌয়ের সচিবালয়ে ফোন করে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে খোঁজ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। চাপের মুখে সক্রিয় হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। গাফিলতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই পুলিশ সদস্যকে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠনেরও ঘোষণা করেছে সরকার। যদিও, সেই উদ্যোগে ঢাকা পড়ে গেছে মুখ্যমন্ত্রীর বেফাঁস মন্তব্য।
অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো মুলায়ম সিং যাদবের নির্বাচনী কেন্দ্র আজমগড়ে গণধর্ষণের শিকার হলেন ১৭ বছরের এক আদিবাসী কিশোরী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে চার ব্যক্তি ওই কিশোরীকে একটি মাঠে জোর করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
সূত্র : জি নিউজ