আজ || রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম :
  গোপালপুরে অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ       গোপালপুরে শিশু ধর্ষন অপচেষ্টা; ভিক্টিমের বাড়িতে প্রাণনাশের হুমকিতে আদালতে প্রসিকিউশন       গোপালপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান লতিফ সিটি আর নেই       প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ       গোপালপুরে দৈনিক মজলুমের কন্ঠ’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত       গোপালপুর হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীকে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে সন্ত্রাসীরা; থানায় মামলা       গোপালপুর প্রেসক্লাবের সহসভাপতি খন্দকার আব্দুস সাত্তার আর নেই       গোপালপুরে শিশু ধর্ষণচেষ্টা: বাদীকে স্কুল কমিটির সভাপতি ও আইনজীবীর হুমকি       গোপালপুরে প্রধান শিক্ষককে বরখাস্তের দাবিতে মানববন্ধন       গোপালপুরে ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ে করতে সহকারি শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের নোটিশ    
 


শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দ্বিধাগ্রস্ত : সন্তু লারমা

পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দ্বিধাগ্রস্ত বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)।

পার্বত্য শান্তিচুক্তির পঞ্চদশ বর্ষপূর্তি সামনে রেখে শুক্রবার রাজধানীর সুন্দরবন হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

শন্তুলারমা বলেন, এই চুক্তি গত চার বছরে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বর্তমান সরকারের বাকি মেয়াদেও বাস্তবায়ন হবে না।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের চার বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও এই সরকার চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো ‘উল্লেখযোগ্য বা কার্যকর’ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

সন্তুলারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি তথা পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীরা মনে করেন যে, এই সরকার অবশিষ্ট মেয়াদের মধ্যে এই চুক্তি বাস্তবায়নেও দ্বিধাগ্রস্ত।

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে জনসংহতি সমিতির এই শান্তিচুক্তি হয়।

১৫ বছর আগে হওয়া এই চুক্তির বেশিরভাগ শর্তের বাস্তবায়ন না হওয়ায় পাহাড়ের পরিস্থিতি আবারো চুক্তি আগের মতো ‘অশান্ত’ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সন্তু লারমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বক্ষেত্রে এখনো সেনা কর্তৃত্ব ও ঔপনিবেশিক কায়দায় সাম্প্রদায়িক শোষণ, নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে।”

এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী পাবর্ত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদগুলোর ক্ষমতায়ন না করে ‘অথর্ব’ করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ তার।

জনসংহতি সমিতির সভাপতি বলেন, “তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে পরিণত করা হয়েছে দুর্নীতির আখড়া এবং ক্ষমতাসীন দলের সংকীর্ণ স্বার্থ সংরক্ষণের হাতিয়ার হিসেবে। উপরন্তু পার্বত্য জেলা পরিষদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা চুক্তিবিরোধী বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।”

তাই চুক্তি বাস্তবায়নে ‘রাজনৈতিক সদিচ্ছা’ ও ‘কার্যকর উদ্যোগ’ নিয়ে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

আর তা না হলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠবে বলেও সতর্ক করেন পাহাড়িদের অধিকার আন্দোলনের এই নেতা।

সংবিধানে একটি নতুন তফসিল সংযোজনের মাধ্যমে ৫৪টির বেশি ভিন্ন ভাষাভাষী গোষ্ঠীর নামের তালিকা যোগ করে তাদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দেয়ার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে গণঐক্যের আহ্বায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা প্রমুখ।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!