আজ || শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম :
  জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে গোপালপুরে বিনামূল্যে টীকা পাবে সাড়ে নয় হাজার কিশোরী ও যুবতী       রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলীর দাফন সম্পন্ন       গোপালপুরে অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ       গোপালপুরে শিশু ধর্ষন অপচেষ্টা; ভিক্টিমের বাড়িতে প্রাণনাশের হুমকিতে আদালতে প্রসিকিউশন       গোপালপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান লতিফ সিটি আর নেই       প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ       গোপালপুরে দৈনিক মজলুমের কন্ঠ’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত       গোপালপুর হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীকে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে সন্ত্রাসীরা; থানায় মামলা       গোপালপুর প্রেসক্লাবের সহসভাপতি খন্দকার আব্দুস সাত্তার আর নেই       গোপালপুরে শিশু ধর্ষণচেষ্টা: বাদীকে স্কুল কমিটির সভাপতি ও আইনজীবীর হুমকি    
 


শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন কলকাতায় গ্রেফতার

নেপালে জেল পালানো বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন কলকাতার বড়বাজার এলাকায় গ্রেফতার হয়েছেন। সুব্রত বাইন ইন্টারপোলের রেডকর্নার নোটিশপ্রাপ্ত আসামি ।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় তাকে কলকাতার পুলিশ গ্রেফতার করে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

সুব্রত বাইনের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পুলিশের মহা-পরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমরা এখনো জানতে পারিনি। ভারত সরকার আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানালে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইন্টারপোলের এআইজি মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে ইন্টারপোলের কাছে তালিকা রয়েছে। যে কোনো দেশই তাদের গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করতে পারে।

এর আগে গত ৮ নভেম্বর সুব্রত নেপালের জেল ভেঙে ভারতে পালিয়ে যান।

এই সন্ত্রাসী ২০০৫ সালে স্ত্রী বিউটির নামে বাড়ি কিনে দক্ষিণ কলকাতার কড়েরা থানার পাম এভিনিউ ও মেফেয়ার রোডের সংযোগস্থলে থাকতে শুরু করেন। নিজস্ব বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্কফোর্সের (এসটিএফ) গোয়েন্দারা। তার কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

জামিনে মুক্তি পেয়ে সুব্রত প্রথমে শিলিগুড়িতে যান। সেখান থেকে নেপালের ঝাপা জেলার সীমান্ত এলাকা কাঁকর ভিটার সুসারি এলাকায় থাকতে শুরু করেন।

২০০৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের দুই কর্মকর্তা সুব্রত বাইনকে পিছু ধাওয়া করে নেপাল সীমান্তের কাকরভিটা শহরে ঢুকে পড়লে সেখানকার পুলিশ তিনজনকেই গ্রেফতার করে।

এর এক সপ্তাহ পর নেপালে ভারতীয় দূতাবাসের হস্তক্ষেপে ছাড়া পায় কলকাতা পুলিশের দু`কর্মকর্তা।

সুব্রত বাইনকে প্রকাশ্যে অশোভন আচরণের (নুইসেন্স ইন পাবলিক) দায়ে পূর্ব নেপালের ভাদ্রপুর জেলে রাখা হয়।

এরপরই গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি সুরঙ্গ খুঁড়ে ওই জেল থেকে পালিয়ে যান বলে ভারতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে বিবিসি বাংলা জানায়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার রঞ্জিত পচনন্দা বলছেন, তাঁদের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স কলকাতার বউবাজার এলাকা থেকে সুব্রত বা‌ইনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বাংলাদেশের জেল থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পরে তিনি পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন আর নাম বদলে কলকাতার একটি বর্ধিষ্ণু এলাকায় থাকতেন।

মাঝে মাঝে তিনি চীন যেতেন বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

২০০৮ সালে কলকাতার পুলিশ তাঁকে একবার গ্রেপ্তার করেছিল৻ পরের বছর তিনি জামিন পেয়ে নেপালে পালিয়ে যান।

কলকাতা পুলিশের দুই অফিসারের সাহায্যে নাটকীয়ভাবে মি. বাইনকে গ্রেপ্তার করে নেপালের পুলিশ।

তাঁকে নেপালের ভদ্রপুর জেলে রাখা হয়েছিল।

সপ্তাহ তিনেক আগে মি. বাইন সুড়ঙ্গ কেটে ভদ্রপুর জেল থেকে পালান বলে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে।

কলকাতার পুলিশ কমিশনার বলছেন, সুব্রত বাইনকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!