অন্যদিকে মাস ছয়েক আগে দেশের আরেক বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিরও জাতীয় সম্মেলন হয়েছে, তাতে রাষ্ট্রের বা জনগণের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার কোন দৃশ্যমান পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। তবে কি এসব কারনেই ধীরে ধীরে গুরুত্ব হারাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর জাতীয় সম্মেলন কিম্বা কাউন্সিলের মর্যাদা?
অথচ স্বাধীনতা-পূর্ব আওয়ামী লীগের সম্মেলনের ইতিহাস ঘাটলে বলা যায়, তাদের সেই সময়কার জাতীয় কাউন্সিল রাষ্ট্র ও জাতি গঠন কিংবা জাতীয়তাবাদ সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। আবার স্বাধীনতা-পরবর্তী সম্মেলনগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, নানা প্রতিকুল পরিবেশেও দলটি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও কখনও কখনও তাদের মূল চরিত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে জড়িয়েছে আদর্শিক দন্দ্বে। কিন্তু নতুন নেতৃত্ব বিকশিত করার প্রক্রিয়া এবং দলের নীতি-আদর্শ ঠিক করার প্রত্যয়ে অনুষ্ঠেয় কাউন্সিল বা সম্মেলন কি সেই সঠিক পথের যাত্রায় অবিচল থাকে কখনো ?
তবে এসব প্রশ্ন ছাপিয়ে আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনকে ঘিরে দুটি বিষয় খুব ভাইরাল হয়ে সামনে এসেছে, তা হলো- এবারের কাউন্সিলে যোগ দিতে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো ও আমন্ত্রনে বিএনপি’র ইতিবাচক সারা এবং নতুন নেতৃত্বের চমকের গুজব। সম্মেলনে আমন্ত্রনের একদিন পর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সম্মেলনে বিএনপি’র উপস্থিতির বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেও দলের পক্ষ থেকে কারা যাবেন এসব বিষয় নিয়ে তৈরী ধুম্রজাল কেবল বেড়েই চলছে।
আর নেতৃত্বের নতুন চমক নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে কানা ঘুষা থাকলেও শুক্রবার রাতে তা কিছুটা হালকা করে দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ। শুক্রবার রাতে হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক নৈশভোজ অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আশরাফ বলেন, “নতুন চমক কী থাকছে, তা শুধুমাত্র নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আর আমি জানি।” এখন শুধু অপেক্ষার পালা…
পরিচিতি : সাইফুল শাহীন লেখক, সাংবাদিক।